কালোজিরার তেল

মহান আল্লাহ প্রকৃতিতে মানুষদের জন্য অসাধারণ নেয়ামত রেখেছেন। অতি প্রাচীনকাল থেকে প্রকৃতির মধ্যে থাকা বিভিন্ন উদ্ভিদ, লতা-পাতা, বীজ মানুষের নানা উপকারে ব্যবহার হয়ে এসেছে। কালিজিরা তেমনই একটি উপকারী বীজ। এটি রান্নায় গুরুত্বপূর্ণ মসলা এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যায় মহষৌধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কালিজিরাকে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের প্রতিষেধক বলা হয়। এই ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার হাদিসও আছে তিনি বলেছেন:-“তোমরা কালিজিরা ব্যবহার করবে, কেনোনা এতে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের প্রতিষেধক রয়েছে ” ( সহিহ বুখারী )

কালিজিরার মধ্যে ১০০ টিরও বেশি পুষ্টি উপাদান রয়েছে । এতে রয়েছে প্রায় :- ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা, ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল এবং চর্বি এবং লৌহের মতো গুরুত্বপুর্ন পুষ্টি উপাদান। এতে আরো রয়েছে :- লিনোলিক অ্যাসিড, অলিক অ্যাসিড, স্টিয়ারিক, অ্যাসিড, প্রোটিন, নিজেলিনপটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়ামসোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, জিংক, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি-৩, কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রাত্যহিক জীবনে কালিজিরা গ্রহণের মাধ্যমে নানাবিধ জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মহষৌধি গুণে সমৃদ্ধ কালিজিরার তেল বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়।

কালোজিরার তেলের অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা:

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে

৩. রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে

৪. শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি নিরাময় করে

৫. চুল পড়া রোধ ও নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে

৬. ত্বকের আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে

০৭. বাতের ব্যাথা দূর করে

৮. হজমের সমস্যা সমাধান করে

৯. ওজন কমাতে সহায়তা করে

১০. কিডনির স্বাস্থ্যে উন্নতি করে

১১. দাঁতের যত্ন বিষেশ উপকারী

১২. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে

১৩. হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে

১৪. প্রস্রাবের সংক্রমণ নিরাময় করে

১৫. শক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে

১৬. ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে

১৭. চেহারার ব্রণ দূর করে

১৮. যৌন সমস্যা সমাধানে বিষেশ উপকারী

১৯. অনিয়মিত মাসিক সমস্যায় উপকারী

২০. মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সহায়ক

২১. আমাশয় নিরাময়ে কার্যকর

২২. শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে সহায়ক

২৩. পাইলস সমস্যা নিরাময় করে

২৪. ত্বকের এলার্জি দূর করে

২৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণ করে

কালোজিরার তেলের উপকারিতা ও ব্যবহারের পদ্ধতি

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : কালোজিরার তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ, যা শরীরকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

ব্যবহার : কালোজিরা তেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এটি শরীরে বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। প্রতিদিন ১ চা চামচ কালোজিরা তেল খাওয়া শরীরকে শক্তিশালী রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতি সকালে ১ চা চামচ কালোজিরা তেল খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।

৩. রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ : কালোজিরা তেল রক্তচাপ কমাতে এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল রক্তচাপ কমায় এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত ১ চা চামচ কালোজিরা তেল মধু বা গরম পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৪. শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি নিরাময় : শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এবং ফুসফুসের সমস্যা সমাধানে কালোজিরার তেল কার্যকরী।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি সমস্যায় উপকারি। এটি শ্বাসযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ফুসফুসের সমস্যাও সমাধান করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৭-১০ ফোঁটা কালোজিরা তেল গরম ভাতের সাথে খেলে শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি কমে।

৫. চুল পড়া রোধ ও নতুন চুল গজানো : এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া রোধ করে।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল চুলের শিকড়ে পুষ্টি যোগায় এবং চুল পড়া রোধ করে। এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলে নিয়মিত ২-৩ ফোঁটা কালোজিরা তেল মালিশ করে ১৫-২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করলে চুল সুস্থ, দীপ্তিমান এবং দীর্ঘ হয়।

৬. ত্বকের আর্দ্রতা ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি : কালোজিরা তেল ত্বকের আর্দ্রতা এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

ব্যবহার : ত্বকের আর্দ্রতা এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে, ত্বকে কালোজিরা তেল মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বককে নরম, মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখবে।

৭. বাতের ব্যাথা দূরীকরণে ব্যবহার : আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায় । ১ চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরা সমপরিমান মধু মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার করে ২/৩ সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায় ।

৮. হজমের সমস্যা সমাধান : এটি হজমশক্তি বাড়িয়ে বদহজম, গ্যাস্ট্রিক এবং অম্বল কমাতে সহায়ক।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, অম্বল এবং অন্যান্য হজম সমস্যা সমাধানে কার্যকরী। খালি পেটে ১ চা চামচ কালোজিরা তেল প্রতিদিন সকালে খেলে এটি হজমতন্ত্র সুস্থ রাখে।

৯. ওজন কমাতে সহায়তা : কালোজিরা তেল বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়ক।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ১ চা চামচ কালোজিরা তেল খাবারের সাথে খেলে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং দ্রুত ওজন কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

১০. কিডনির স্বাস্থ্যে উন্নতি : কিডনির সমস্যা এবং পাথর নিরাময়ে সাহায্য করে।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং কিডনির পাথর সমাধানে সহায়তা করে। প্রতিদিন ১ চা চামচ কালোজিরা তেল গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

১১. দাঁতের যত্ন : দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া বা রক্ত পড়া সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবং দাঁতের জীবাণু প্রতিরোধ করে। ১-২ ফোঁটা কালোজিরা তেল মাড়িতে মালিশ করলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ও ফুলে যাওয়া কমে।

১২. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি : মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে। এটি মানসিক ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৩-৫ ফোঁটা কালোজিরা তেল দুধ বা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।

১৩. হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস : রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন ১ চা চামচ কালোজিরা তেল দুধ বা মধু দিয়ে খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

১৪. প্রস্রাবের সংক্রমণ নিরাময় : মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল মূত্রনালীর সংক্রমণ এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রস্রাবের পথ পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। দিনে ১ চা চামচ কালোজিরা তেল মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর হয়।

১৫. শক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি : শারীরিক শক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল শারীরিক শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন ১ চা চামচ কালোজিরা তেল মধু বা গরম পানির সাথে খেলে শক্তি বৃদ্ধি পায়।

১৬. ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখা : ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে তারুণ্য বজায় রাখতে সহায়ক।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল ত্বকের বলিরেখা কমায় এবং ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে সহায়ক। এটি ত্বকে মাস্ক হিসেবে লাগানো যেতে পারে। সপ্তাহে ২-৩ বার কালোজিরা তেল মধুর সাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক তারুণ্যবতী থাকে।

১৭. চেহারার ব্রণ দূর করে : কালোজিরা তেলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা সমাধানে সহায়ক। এটি ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।

ব্যবহার : কালোজিরা তেলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা সমাধানে সহায়ক। এটি ত্বককে পরিষ্কার রাখে এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ব্রণ আক্রান্ত স্থানে ২-৩ ফোঁটা কালোজিরা তেল লাগিয়ে রেখে পরিষ্কার করুন।

১৮.যৌন সমস্যা সমাধান : কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং যৌন সমস্যা প্রতিরোধ করে। এটি পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে।
ব্যবহার : প্রতিদিন খাবারের সাথে কালোজিরা তেল খেলে উপকার পাওয়া যায়। ১ চা-চামচ মাখন, ১ চা-চামচ জাইতুন তেল, ৩-৭ ফোঁটা কালোজিরা তেল এবং মধু মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার, সপ্তাহে ৪/৫ দিন খেলে যৌন ক্ষমতায় উন্নতি আসবে।

১৯. অনিয়মিত মাসিক সমস্যায় : ব্যবহার : ১ কাপ কাঁচা হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে ১ চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার করে খেলে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যাবে।

২০. মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে ব্যবহার : যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের জন্য কালোজিরা এক ধরনের মহৌষধ। মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ ফোঁটা কালোজিরার তেল দুধের সাথে খেলে মাত্র ১০-১৫ দিনের মধ্যে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে।

২১. আমাশয় নিরাময়ে ব্যবহার : আমাশয় রোগের চিকিৎসায় কালোজিরার ব্যবহার অনেক পুরোনো। ১ চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুর সাথে দিনে ৩ বার করে ২-৩ সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

২২. শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে ব্যবহার : দুই বছরের বেশি বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে তাদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি দ্রুত হয়। এটি শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কার্যকরী। তবে ১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়।

২৩. পাইলস সমস্যা নিরাময়ে : ব্যবহার : ১ চা-চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তিলের তেল, ১ চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ প্রতিদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যাবে ।

২৪. ত্বকের এলার্জি দূর করতে কালোজিরার তেল কার্যকারিত : ত্বকের এলার্জি সাধারণত অ্যালার্জেন (যেমন: ধুলো, পরাগ, কেমিক্যাল, খাবার) বা বাহ্যিক প্রতিক্রিয়ার কারণে হয়। এর ফলে চুলকানি, লালচেভাব, ফোলাভাব বা র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। কালোজিরার তেল একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার যা এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-হিস্টামিন গুণাবলীর কারণে ত্বকের এলার্জি থেকে আরাম দেয়।

ব্যবহার : এলার্জিতে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ২-৩ ফোঁটা কালোজিরার তেল নিয়ে আঙুলের সাহায্যে হালকা করে মালিশ করুন প্রতিদিন ১-২ বার এই পদ্ধতিতে ব্যবহার কারলে ত্বকের এলার্জি দূর করতে সাহায্য করবে

২৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ : কালোজিরা তেল শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

ব্যবহার : কালোজিরা তেল শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১ চা চামচ কালোজিরা তেল খেলে এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।

অনান্য ব্যবহার

মাথা ব্যাথা নিরাময়ে : ১/২ চা চামচ কালোজিরা তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং ১ চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩ সপ্তাহ খেলে মাথা ব্যথায় উপকার পাওয়া যায় ।
সর্দি সারাতে : ১ চা চামচ কালোজিরা তেল সমপরিমাণ মধু বা ১ কাপ লাল চা এর সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার খেতে হবে এবং মাথায় ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া ১ চা-চামচ কালোজিরার তেলের সাথে ২ চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর করে ।
শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে পারে: কিছু গবেষণা ধারণা দিচ্ছে, কালোজিরার তেল সেবন করলে অনুর্বর পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়তে পারে। একটি গবেষণায় অনুর্বর পুরুষদের একটি গ্রুপকে প্রতিদিন ২.৫ মিলি কালোজিরার তেল এবং আরেকটি গ্রুপকে প্লাসেবো দেওয়া হয়। আড়াই মাস পর দেখা গেছে, যারা কালোজিরার তেল খেয়েছেন তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা তুলনামূলক বেড়েছে। এমনকি শুক্রাণুগুলোর গতিশীলতাও বেড়েছে।